সিলেট সিটি কর্পোরেশনের ভারপ্রাপ্ত মেয়র মোহাম্মদ তৌফিক বকস লিপন এর সাথে সিলেট মহানগর ব্যাটারি চালিত রিক্সা মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদের নেতৃত্বের এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
২৪ নভেম্বর বুধবার দুপুরে নগর ভবনের হলরুমে মালিক-শ্রমিক নেতৃবৃন্দ ভারপ্রাপ্ত মেয়র এর কাছে শ্রমিক হয়রানী সহ বিভিন্ন দুঃখ-কষ্ট, অভিযোগ তুলে ধরেন। মেয়র ধৈয্য সহকারে তাদের অভিযোগগুলো শুনেন। এ সময় ভারপ্রাপ্ত মেয়র তৌফিক বকস লিপন বলেন, ব্যাটারি চালিত রিক্সা মালিক ও শ্রমিকদের কোন ক্ষতি আমরা চাই না। কিন্তু হাইকোর্টের নির্দেশকে সম্মান করে নগরীতে ব্যাটারি চালিত রিক্সার বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালিত হয়েছে। বর্তমানে সিসিক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী ওমরা পালনে সৌদী আরব রয়েছেন। তিনি আসার পর মালিক-শ্রমিকদের পরিবারের উপার্জনের স্বার্থে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করবো।
মতবিনিময় কালে বক্তব্য রাখেন সিলেট মহানগর ব্যাটারি চালিত রিক্সা মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদের সভাপতি আক্কাস আলী, সাধারণ সম্পাদক আবু বকর সিদ্দিক। উপস্থিত ছিলেন রিক্সা মালিক আব্দুস সুবহান, শফিক মিয়া, আনিসুর রহমান খান, হাবিবুর রহমান, শ্রমিক নেতা আনোয়ার হোসেন আনাই, আব্দুল কুদ্দুস, আরাফাত আহমদ, আব্দুল গণি, ইদ্রিস আলী, শহীদুল ইসলাম, জসিম উদ্দিন, নুরুল ইসলাম, সোহেল আহমদ, আজিজুর রহমান, খায়রুল ইসলাম, মজনু মিয়া, মসু মিয়া, আব্দুল আহাদ, আমিনুল ইসলাম প্রমুখ।
মতবিনিয়মকালে মালিক-শ্রমিক নেতৃবৃন্দ বলেন, ব্যাটারী চালিত রিক্সার সাথে সিলেট মহানগরীর আনুমানিক ১৫-২০ হাজার মানুষ জড়িত। হঠাৎকরে ব্যাটারী চালিত রিক্সা বন্ধ করে দিলে মানুষগুলো বেকার হয়ে পড়বে।
দরিদ্র মানুষগুলি বেকার হয়ে গেলে তারা অপরাধমূলক কর্মকান্ডে জড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ব্যাটারি চালিত রিক্সা বাংলাদেশের অন্যান্য জেলায় অবাধে চলাচল করলেও সিলেটে ব্যাটারি চালিত রিক্সা চলাচল করতে পারছেনা
নেতৃবৃন্দ মানবিক দিক ও বয়বৃদ্ধ চালকদের কথা চিন্তা করে নগরীর ব্যাটারী চালিত রিক্সা চলাচলের অনুমোদন দেয়ার জন্য সিসিক কর্তৃপক্ষের প্রতি আহবান জানান।
Discussion about this post