নিজেদের পকেট ভারী করার জন্য যুবলীগের পদ পদবী ব্যবহার করা যাবেনা। কারণ আমরা এই পদ-পদবী কোন কিছুর বিনিময়ে দেইনি।
আমি একটি কথা স্পস্ট করে বলতে চাই, আমরা এই পদ-পদবী দেওয়ার জন্য করো কাছ থেকে কোনো প্রকার উপঢৌকন গ্রহণ করিনি। সুতরাং কেউ যেনো সংগঠনের পদ পদবী ব্যক্তিগত স্বার্থ হাসিলের জন্য ব্যবহার না করে। বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ উত্তর জেলা শাখার সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের সভাপতি শেখ ফজলে শামস পরশ।
তিনি বলেন, মানবিক যুবলীগ গড়ে তুলতে হলে আমাদের দলকে সবার আগে গুরুত্ব দিতে হবে। সংগঠনে ভুঁইফোড় অনুপ্রবেশকারীদের রাজত্ব বন্ধ করতে হবে। যারা ত্যাগী, সাংগঠনিকভাবে অভিজ্ঞ ও দক্ষ তাদের নির্বাচন করে মূল্যায়ন করার আহবান জানান তিনি। যারা দলের দুঃসময়ে সংগ্রাম করেছে, জেল-জুলুম ত্যাগ-তিতিক্ষা অত্যাচার সহ্য করেছে, তাদেরকে আপনারা বিবেচনা করে মূল্যায়ন করবেন।
যুবলীগের সভাপতি অনুরোধ করেন কোন নেতা বা কর্মী যেন দুর্নীতিগ্রস্ত না হয়। তিনি বলেন, দুর্নীতি বাংলাদেশকে ভিতর থেকে খেয়ে ফেলেছে। দুর্নীতি দূর করা কঠিন কিন্তু নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। যুবলীগ দুর্নীতিকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে। আইন করে দুর্নীতি নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব নয়। সামাজিক আন্দোলন করে দুর্নীতিকে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। দুর্নীতি নিয়ন্ত্রণ করতে জনগণকে যুক্ত করতে হবে।
সম্মেলনে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিল। অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য,সংসদ সদস্য মোশাররফ হোসেন, ভার্চুয়াল বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ, সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ।
বিশেষ অতিথি উত্তর জেলার সভাপতি এম এ সালাম, সাধারণ সম্পাদক শেখ মোহাম্মদ আতাউর রহমান, সংসদ সদস্য মাহফুজুর রহমান, দিদারুল আলম ও খাদিজাতুল আনোয়ার, যুবলীগ চট্টগ্রাম বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নাঈম,
সাংগঠনিক সম্পাদক মো. সাইফুর রহমান সোহাগ, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক জয়দেব নন্দী, উপ প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আদিত্য নন্দী প্রমুখ
Discussion about this post