এবারের এস.এস.সি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে দৃষ্টি প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থী তাবাসসুম ফেরদৌসি চাঁদনী জিপিএ ৪.২২ পেয়ে সাফল্যের সাথে উর্ত্তীণ হয়েছে। চাঁদনী গ্রীন ডিসএ্যাবল্ড ফাউন্ডেশন জিডিএফ এর ৪র্থ ব্যাচের দৃষ্টি প্রতিবন্ধী আবাসিক শিক্ষার্থী।
চাঁদনী মাধ্যামিক উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড সিলেটের অধিনে রসময় মেমোরিয়াল উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এস.এস.সি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে।
তাকে লেখক হিসেবে সহযোগিতা করেছে উক্ত বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণির শিক্ষার্থী শতাব্দী মল্লিক।
হবিগঞ্জ জেলার শায়েস্তাগঞ্জের নিজগ্রামে মরহুম আব্দুল ওয়াহেদ ও আনোয়ারা খাতুন এর মেয়ে তাবাসসুম ফেরদৌসি চাঁদনী।
সে উচ্চ শিক্ষা অর্জন করে শিক্ষক হয়ে দেশ গড়ার কাজে নিজেকে নিয়োজিত রাখতে চায়।
সে শিক্ষক, অভিভাবক, জিডিএফ কর্তৃপক্ষের প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করে সকলের দোয়া কামনা করেছে।
এদিকে জিডিএফ-ডিকেফ দৃষ্টি প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়ের সহায়ক কর্মী নুরজাহান বেগমের মেয়ে নাদিয়া বেগম এবারের এস.এস.সি পরীক্ষায় জিপিএ ৪.৩৩ পেয়ে সাফল্যের সঙ্গে উত্তীর্ণ হয়ছে।
সে জিডিএফ এর তত্তাবধানে থেকে লেখাপড়া করেছে। নাদিয়া বড় হয়ে পুলিশ কর্মকর্তা হয়ে দেশের সেবায় নিজে নিয়োজিত রাখার আশাবাদ ব্যক্ত করেছে। সে সকলে দোয়া প্রার্থী।
দৃষ্টি প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থী চাঁদনী ও নাদিয়া’র সাফল্যের জন্য মহান আল্লাহ দরবারে শুকরিয়া আদায় করে গ্রীন ডিসএ্যাবল্ড ফাউন্ডেশন (জিডিএফ)’র মহাসচিব ও নির্বাহী পরিচালক বায়জিদ খান বলেন, তারা সুশিক্ষা অর্জন করে আদর্শ মানুষ হয়ে দেশের কল্যাণে ভুমিকা রাখবে বলে আমি আশাবাদী।
দৃষ্টি না থাকার পরও চাঁদনী যে সাফল্য অর্জন করেছে এটা সত্যি গর্বের বিষয়। তিনি বলেন, বিদ্যালয়টি পরিচালনায় যারা ব্যক্তিগত ও প্রাতিষ্ঠানিক ভাবে সহযোগিতা করেছেন।
জিডিএফ কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন।
Discussion about this post