চট্রগ্রাম করদাতা সুরক্ষা পরিষদের ধারাবাহিক কর্মসূচির অংশ হিসেবে চট্রগ্রাম নগরীর কদমতলীতে প্রতিবাদ এবং বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে চট্টগ্রাম করদাতা সুরক্ষা পরিষদ।গত শুক্রবার বিকালে অনুষ্ঠিত সমাবেশ থেকে সংগঠনের সভাপতি নুরুল আবছারের মুক্তি এবং হোল্ডিং ট্যাক্স আইন বাতিলের দাবি জানানো হয়।
আগামী ১৫ দিনের মধ্যে নুরুল আবছারকে মুক্তি এবং ‘অন্যায্য’ হোল্ডিং ট্যাক্স বাতিলের আল্টিমেটাম দেয়া হয় উক্ত সমাবেশ থেকে।অন্যথায় সিটি মেয়রকে ঘেরাও করে
দাবি আদায়ে বাধ্য করার হুঁশিয়ারী দেয়া হয়।
সমাবেশে সুরক্ষা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মুহম্মদ আমির উদ্দিন বলেন, দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন বৃদ্ধি, করোনায় বিধ্বস্ত অর্থনীতি আর বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তনে ক্ষতিগ্রস্ত নিত্য জলাবদ্ধ নগরীতে হোল্ডিং ট্যাক্সের আজাব নাজিল করে সুরক্ষার সভাপতিকে জেলে ভরে মেয়র এখন নীরোর বাঁশি বাজাচ্ছেন।
এভাবে চলতে থাকলে ক্ষুব্ধ নগরবাসী তীব্র আন্দোলনের মাধ্যমে এ মেয়রের বিদায় ঘণ্টা বাজিয়ে দেবেন।
তিনি আরো বলেন, বাড়িভাড়ার ভিত্তিতে নজীরবিহীন হোল্ডিং ট্যাক্স আরোপ করে কর্পোরেশন ইতোমধ্যে নগরবাসীর কাছ থেকে ২০০ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। আর এসব ঘুষ-বাণিজ্যের বিরুদ্ধে কথা বলতে গিয়ে আমাদের সভাপতি কারারুদ্ধ।
আগামী ১৫ দিনের মধ্যে নুরুল আবছারকে মুক্তি দিতে হবে এবং অন্যায্য হোল্ডিং ট্যাক্স আইন বাতিল করতে হবে। তা না হলে চট্টগ্রামবাসি মেয়রকে ঘেরাও করে দাবি আদায়ে বাধ্য করবে। তখন পাড়া ও মহল্লায় কেবল একটাই শ্লোগান হবে ‘করের কথা পরে হবে, মেয়রকে যেতে হবে’। তিনি আগামী ১৫ দিন পাড়া ও মহল্লা -আবাসিক এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশের কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
সংগঠনের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মুজিবুল হকের সভাপতিত্বে সভায় সাবেক কাউন্সিলর জান্নাতুল ফেরদৌস পপি বলেন, চট্টগ্রামের অন্যতম নাগরিক সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান সিটি কর্পোরেশন আজ ঘুষ-দুর্নীতিতে আকন্ঠ নিমজ্জমান।
মশার উৎপাতে সন্ধ্যার পর বসা যায় না। ড্রেনগুলো আবর্জনার ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে। এসব নাগরিক সমস্যা সমাধান না করে মেয়র ষড়যন্ত্রমূলক মামলা করে আবছার ভাইকে কারাগারে পাঠিয়েছেন। আমরা অবিলম্বে আবছার ভাইয়ের মুক্তি চাই। তা না হলে কঠোর কর্মসূচি দিতে বাধ্য হবো।
সাবেক কাউন্সিলর এম এ মালেক বলেন, ৭০ লাখ চাটগাঁবাসির দাবি আদায়ে রাজপথে নামার কারণে নুরুল আবছার আজ কারাগারে। এর মধ্য দিয়ে নুরুল আবছার আজ চট্টগ্রামবাসির বুকে ঠাঁই করে নিয়েছেন।অন্যদিকে মেয়র জনপ্রিয়তা হারিয়ে ইতিহাসের আঁস্তাকুড়ে নিক্ষিপ্ত হবেন।
সাজ্জাদ হোসেন জাফর ও সোহেল আহমদের সঞ্চালনায় সমাবেশে নুরুল আবছারের পুত্র নুরুল হুদা তানভীর বলেন, জেলে দেখা করতে গেলে আমার বাবা বলেন, সবাইকে নিয়ে ঐক্যবদ্ধ হয়ে করের বিরুদ্ধে তীব্র আন্দোলন গড়ে তুলো। আমি বছরের পর বছর জেল খাটলেও কোনো অসুবিধা নেই। চট্টগ্রামবাসির স্বার্থের ব্যাপারে কোনো আপোস করবো না।
অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, সুরক্ষার অন্যতম নেতা মীর মোহাম্মদ ইসলাম, কাজী শহীদুল ইসলাম স্বপন, ইসমাইল হোসেন মনু, হাজী হারুনুর রশিদ, হাজী মফিজুর রহমান, আরশাদ হোসেন, নজরুল ইসলাম প্রমুখ।
প্রতিবাদ সমাবেশ শেষে ১টি বিক্ষোভ মিছিল সমাবেশস্থল থেকে নগরীর নিউমার্কেট মোড়ে গিয়ে শেষ হয়।
Discussion about this post